ইউক্রেনে যুদ্ধে ১৫ হাজার যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে

ইউক্রেনের প্রধান কৌঁসুলির অভিযোগ, যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার যুদ্ধাপরাধের মতো ঘটনা সংঘটিত হয়েছে ইউক্রেনে। এসব ঘটনায় ছয়শ সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে এবং ৮০টি ঘটনার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

নেদারল্যান্ডসের দ্যা হেগ শহরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রসিকিউটর ইরিনা ভেনেডিকটভা। 

আর এই সন্দেহভাজনদের তালিকায় রুশ সেনাবাহিনীর সিনিয়র পর্যায়ের কর্মকর্তারা ছাড়াও দেশটির রাজনীতিক ও রাশিয়ার পক্ষে কাজ করা ‘প্রোপাগান্ডা এজেন্ট’দের নাম রয়েছে।

তবে রাশিয়া বরাবরই বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

ভেনেডিকটভা জানিয়েছেন, ১৫ হাজার যুদ্ধাপরাধের ঘটনা মধ্যে কয়েক হাজার হয়েছে পূর্বাঞ্চলীয় ডনবাস অঞ্চলে, যেখানে ইউক্রেনের সেনাদের সাথে রুশদের তীব্র লড়াই হয়েছে। ওই অঞ্চলে যুদ্ধাপরাধের যেসব ঘটনা ঘটেছে তার মধ্যে আছে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত করা। বিশেষ করে প্রাপ্তবয়স্ক ও শিশুদের রাশিয়ার দুটি আলাদা এলাকায় পাঠিয়ে দেয়া।

তিনি বলেন, নির্যাতন, বেসামরিক নাগরিক হত্যা, বেসামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করাও সন্দেহভাজন যুদ্ধাপরাধের মধ্যে রয়েছে। তবে লড়াই চলার সময় তদন্ত করা খুব কঠিন কাজ।

এস্তোনিয়া, লাটভিয়া ও স্লোভাকিয়াও এসব ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়ায় সম্পৃক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। পোল্যান্ড ও লিথুয়ানিয়া আগে থেকেই সহায়তা করছে।

আন্তর্জাতিক অপররাধ আদালত ইতোমধ্যেই ইউক্রেনকে ‘অপরাধ ক্ষেত্র’ হিসেবে বর্ণনা করেছে এবং ইতোমধ্যেই সংস্থাটির তদন্ত কর্মকর্তাদের একটি বড় দলকে ইউক্রেনের তদন্ত কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ছেড়ে দিয়েছে। এমনকি তারা কিয়েভে একটি কার্যালয় খোলারও আশা করছে।

এদিকে গতকাল মঙ্গলবার (৩১ মে) দুই রাশিয়ান সেনাকে কারাদণ্ড দেয়ার ঘোষণা দেয়া হয়েছে বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণের দায়ে। এছাড়া ইউক্রেনে আরো একজন রুশ সেনার বিচার শুরু হয়েছে গত সপ্তাহে। তার বিরুদ্ধে বেসামরিক নাগরিক হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

অপরদিকে ইউক্রেনের মানবাধিকার বিষয়ক ন্যায়পাল লুদমিলা ডেনিসোভাকে দেশটির পার্লামেন্ট বরখাস্ত করেছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো, তিনি মানবিক করিডোর তৈরি করে বন্দি বিনিময় কার্যক্রম সঠিকভাবে করতে পারেননি। একইসাথে রুশ সেনাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের যে অভিযোগ উঠেছে সেটিও ঠিকমতো সামাল দিতে পারেননি বলে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে।

এদিকে পূর্বাঞ্চলীয় শহর সেভেরোদনিয়েস্কের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইউক্রেন ও রুশ সৈন্যদের মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। সেখানকার আঞ্চলিক গভর্নর জানিয়েছেন, শহরটি ৭০-৮০ ভাগ এখন রুশদের নিয়ন্ত্রণে।

রাশিয়া এখন লুহানস্কের প্রায় পুরোটাই নিয়ন্ত্রণ করছে এবং পার্শ্ববর্তী দনেৎস্কের দিকে দৃষ্টি দিয়েছে। -বিবিসি


সাম্প্রতিক দেশকাল ইউটিউব চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন

মন্তব্য করুন

Epaper

সাপ্তাহিক সাম্প্রতিক দেশকাল ই-পেপার পড়তে ক্লিক করুন

Logo

ঠিকানা: ১০/২২ ইকবাল রোড, ব্লক এ, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭

© 2024 Shampratik Deshkal All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh

// //